চিত্রনায়িকা মৌসুমীཧর প্রতি যেন কেউ বাজে মন্তব্য না করেন সেই অনুরোধ রেখেছেন তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী।
সোমবার (১৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে🥀 নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে এ অনুরোধ জানান ঢালি♐উডের এই অভিনেতা।
হাত জোর করে ওমর সান♛ী বলেন, “আপনার দয়া করে মৌসুমীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করবেন না। আপনারা সবাই জানেন জায়েদ🅘 খান কী?”
মৌসুমীর করা মন্তব্য প্রসঙ্গে ওমর সানী বলেন, “আমি নিজেও জানি না মৌসুমী কেন জায়েদ খানকে ভালো ছেলে বললো। তবে আমি তাকে নিয়ে কোনো বাজে মন্তব্য করতে চাই না। কারণ তিনি আমার স্ত্রী। তবে জায়েদ খানের সম্পর্কে আমার যে অভিযোগ, তার প্রমাণ আমার ছেলের কাছেই রয়েছে। আমি 💝আমার ছেলেমেয়েকই এখন অভিভাবক হিসেবে মানতে চাই। তারাই কথা বলুক। আমি 🐷এই বিষয়গুলো নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।”
এরপর লাইভে মৌসুমীকে নিয়ে এ অভিনেতা বলেন, “মৌসুমীর সম্পর্কে যদি বলি— সে আমার স্ত্রী এবং আমার সন্তানের মা, সে একজন গর্জিয়াস মা। আমি তাকে অসম্মান করে একটি কথাও বলব না। কী ভেবে সে জায়েদ খানকে ভালো বলেছে … শোনেন, ওনার সম্পর্কে বাংলা চলচ্চিত্র জানে, বর্তমান ক্যাবিনেট জানে, প্রযোজক সমিতির ক্যাবিনেট জানে এবং পরিচালক সমিতির ক্যাবিনেট জানে, দর্শ📖ক জানে; সবাই জানে। আ﷽মি এ ব্যাপারে কথা বলব না।”
২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের সেই অডিও বার্তায় মৌসুমী বলেন, “আমি মনে করি, আমার প্রসঙ্গ টানার কোনো প্রয়োজনীয়তাই ছিল না। আমি জায়েদকে অনেক স্নেহ করি। সে আমাকে যথেষ্ট সম্মান করে। আমাদের মধ্যে যতটুকু কাজের সম্পর্ক, সেটা অনেক ভালো সম্পর্ক। সেখানে আমাকে অসম্মান করার প্রশ্নই ওঠে না এবং ওর মধ্যে আমি গুণ ছাড়া অপ্রীতিকর কিছুই দেখি না, কোনো পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে,🐟 সেটা আমি দেখিনি। ও ভালো ছেলে। সে আমাকে কখনোই অসম্মান করেনি।”
এর আগে এক অডিও বার্তায় মৌসুমী আরো বলেন, “এটা একান্তই আমাদের ব্যক্তিগত সমস্যা। সেই সমস্যা আমাদের পারিবারিকভাবেই সলভ হওয়া উচিত ছিল। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি, জায়েদের এখানে খুব একটা দোষ নেই, আমি দোষ খুঁজে পাচ্ছি না। আরেকটি কথা বলতে চ🐼াই, আমাকে এই ছোট করার মধ্যে যাকে আমরা শ্রদ্ধা করে এসেছি আমাদের ওমর সানী ভাই, তিনি এখন কেন এত আনন্দ পাচ্ছেন, সেটা আমি বুঝতে পারছি না। আমার কোনো সমস্যা থাকলে আমার সঙ্গেꩵ সলভ করবে। সেটিই আমি আশা করি।”
ওমর সানীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত কর মৌসুমী বলেন, “জায়েদকে আমি স্নেহ করি, সে আমাকে সম্মান করে। সে আমাকে কটূক্তি বিরক্তি ♋কিছুই করেনি।”
এর আগে মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের🎀 জের ধরে জায়েদ খানকে চড় মারেন ওমর সানী। চড়ের প্রতিক্রিয়ায় ওমর সানীকে জায়েদ খান পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জায়েদ খানের নামে 🅺চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ওমর সানী। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, “চার মাস ধরে তাদের সুখের সংসার ভাঙার চেষ্টা করছেন জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে অভিনেত্রী মৌসুমীকে নানাভাবে হয়রানি ও বিরক্ত করে আসছেন জায়েদ।”
তবে শুরু থেকেই ওমর সানীর এ অভিযোগকে নাকোচ করꦏে আসছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, “পুরো ঘটনাটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। এই ব্যাপারে মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা ব🔯ললেই সব জানতে পারবেন।”
জায়েদ আরও বলেন, “আমি কখনোই তাকে (মৌসুমী) হেয়প্রতিপন্ন করিনি। এটা একদম ভুয়া কথা। আমাদের নির্বাচনই তো চার মাস হয়নি। এখন সানী ভাই একটার পর একটা মিথ্যা নাটক সাজাচ্ছেন। আপনারা মৌসুমী আপার সঙ্গে কথা বলেন। আমি মিথ্যা বলছি কি না, জানুন। তা ছাড়া আমরা ১৫–২০ দিন আগেও একসঙ্গে ডিপজল ভাইসহ 🅘অন্যরা মিলে মিটিং করেছি। সেখানে মৌসুমী আপা এসেছেন। আমাদের কথাও হয়েছে। সম্পর্ক খারাপ হলে মিটিংয়ে আমাদের থাকার কথা নয়। এ ছাড়া সিনেমার শুটিংসহ বিভিন্ন কিছু নিয়ে আমাদের মাঝেমধ্যেই কথা হয়।”
ওমর সানীর অভিযোগের বিষয়ে পাল্টা অভিযোগ করে জায়েদ খান জানান, ꦑএমন ঘটনায় তার নিজের মানহানি হচ্ছে। ওমর সানী মিথ্যা অভিꦯযোগ দিয়ে তাকে শিল্পী হিসেবে অসম্মান করছেন।
ওমর সানীকে উদ্দেশ করে জায়েদ আরও বলেন, “একজন শিল্পী আরেকজন শিল্পীকে এভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করতে পারেন না। প্রথমত, পিস্তল আমার সঙ্গে ছিল না। আর ঘরসংসার ভাঙার ইঙ্গিত খুবই খারাপ। এতে মৌসুমী আপাকেও ছোট ক🌳রা হচ্ছে। গতকাল থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই নাটক চলছে। তিনি (ওমর সানী) যখন দেখেছেন আমি এগুলোর সঙ্গে নেই, তখন ভিন্ন দিকে বিষয়টাকে নিয়ে যাওয়া ঠিক হচ্ছে না।”
গত শুক্রবার (১০ জুন) অভিনেতা ডিপজলের ছেলে সৌমিকের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ওমর সানী ও জায়েদ খানকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। স্ত্রী চিত্রনায়িকা মৌসুমীর সঙ্গে খারাপ আচরণের জেরে স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী চড় মেরে বসেন জায়েদ খানকে। চড়ের পর ওমর সানীকে পিস্তল বের করে হত্যার হুমকি দেন জায়ꦉেদ খান, রোববার (১২ জুন) এমন অভিযোগ আনেন ওমর সানী নিজেই। তিনি এই ঘটনার জেরে শিল্পী সমিতির কাছে বিচারও চেয়েছেন।